তত্কালীন সংবাদপত্রে প্রকাশিত পর্যালোচনা
OPINIONS OF THE PRESS
Ramkrishna Paramhansa is a great character of the Ninteenth Century. His life is a life, worth to be studied by all. Therefore we take special interest in all the works that deal with his life and teachings. This RAMKRISHNA PUNTHI — the book which is now before us — is surely an excellent addition to his biographical literature. We heartly thank the author Babu Akshoy Kumar Sen, for his splendid work, and we hope our countrymen will not get the support of the public, and the work dies for want of funds, the disgrace will be ours and not of the author.
The book is not only interesting and instructive, but it
contains some lines here and there which might be called real poesy.
The author's language is often faulty, but he seems to be not a man of
letter, and writes out of inspiration. His ignorance of grammar and
rhetoric has given to his book the simplicity and the purity of nature;
and he has painted his GURU as perhaps he really was.
— THE QUEEN December 17th, 1894.
Babu Akshoy Kumar Sen has done a very valuable service, to the cause of Hinduism by undertaking to publish the story of Ramkrisna's life, of which the first part only has be given to the public. The book is being written in verse after the simple and elegant style of the great masters, Krittibas and Kasidas. We sincerely congratulate the writer on this happy choice of style. The subject cannot be rendered better in any other. Is it too much to expect that the sacredness of the subject matter combined with all the charms of expression with which it has been embellished will find an admirer, to say the least, in every nook and corner of Bengal, the land which has been hallowed with the birth and presence of the sweet should and simple saint the divine Ramkrisna.
— THE WEEKLY NEWS February 2nd, 1895.
The SRI SRI RAM KRISHNA PUNTHI is a metrical biography of Paramhansa Ram Krisna by Babu Akshay Kumar Sen. For Ram Krishna's sake at least this biography deserves public patronage.
— THE INDIAN MIRROR, November 24th, 1894.
ভগবান্ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের চরিতামৃত বা ভাগবত বর্ণনোদ্দেশে, শ্রীযুক্ত বাবু অক্ষয়কুমার সেন, এই পুঁথি বা ভাগবত রচনা করিয়াছেন। পূজনীয় বৃন্দাবন দাস যেমন চৈতন্নভাগবত রচনা করিয়াছেন, পূজনীয় শ্রীযুক্ত বাবু অক্ষয়কুমার সেনও সেইরূপ পুঁথি বা রামকৃষ্ণভাগবত রচনা করিয়াছেন। রামকৃষ্ণচরিত সামান্য মনুষ্য-চরিত নহে, এবং যিনি এই চরিত রচনা করিবার অধিকার লাভ করিয়াছেন, তিনিও সামান্য জীবশ্রেণীভুক্ত নহেন। যাঁহারা অবতারবাদ মানেন এবং যাঁহারা চৈতন্যচরিতামৃত পাঠ করিয়াছেন, তাঁহারা আমাদের এই কথার তাৎপর্য্য বুঝিবেন।
বাবু অক্ষয়কুমার সেন সাধারণের নিকট সম্পূর্ণ অপরিচিত। তাঁহার আকার ও অবস্থাদি দেখিলে সহসা কাহারও যনে হইবে না যে, রামকৃষ্ণ পুঁথির ন্যায় পুঁথি বা ভাগবত তাঁহার দ্বারায় কখন লিখিত হইতে পারে? কিন্তু ভগবানের লীলায় সকলই অলৌকিক। তিনি কাহার দ্বারায় যে কোন কাৰ্য্য করান, তাহা সামান্য মনুষ্যবুদ্ধির সম্পূর্ণ অতীত। রামকৃষ্ণ পুঁথি লিখিবার পূর্ব্বে, অক্ষয় বাবু কখন দুই ছত্র কবিতা একত্র করিয়া লিখেন নাই, অথচ যখন লিখিলেন, তখন একেবারেই এই সুবৃহৎ গ্রন্থ অতিশয় সুললিত ছন্দে ও মধুর ভাষায় রচনা করিয়া ফেলেন। বিদ্যাবুদ্ধিহীন অক্ষয়কুমার পর্যায়ক্রমে বাল্য; মধ্য, প্রকাশ বা প্রচার এবং অস্ত এই চারি খণ্ডে রীতিমত রামকৃষ্ণপুঁথি লিখিয়া জগৎকে চমৎকৃত করিয়া দিলেন। সকলেই জানেন, রামায়ণরচয়িতা বাল্মীকিও প্রথমে মূর্খ নিষ্ঠুর দস্যু বলিয়া পরিচিত ছিলেন। শ্রীচৈতন্য লীলায় জগাই মাধাই এক মুহূর্তে সাধুত্তম হইইয়া গিয়াছিলেন। সেইরূপ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলায়ও বহুবিধ অলৌলিক ঘটনা ঘটিয়াছে। অক্ষয় বাবুর সম্বন্ধে আমরা যতদূর জানি, তাঁহাতেও ঠিক এইরূপ আশ্চর্য। অলৌকিক ব্যাপারই ঘটিয়াছিল বলিতে হইবে। তিনি যখন প্রথমে ঠাকুরের নিকটে গমন করেন, তখন তিনি একদিন কাতর হইয়া ঠাকুরকে বলেন যে, আমি কানা। ঠাকুর তাহাতে কেবল মাত্র আকাশের দিকে অঙ্গুলী নির্দেশ করিয়া দেখাইয়া দেন, আর কোন কথাই কহেন না। ঠাকুর তখন যে কি অর্থে সেরূপ উর্দ্ধে দেখাইয়া দেন, তাহা সামান্য মনুষ্যবুদ্ধির একেবারেই অগোচর। কিন্তু আজ সেই অক্ষয় বাবু যে কিরূপ কানা, তাহা তাঁহার পুঁথিই তাহার উপযুক্ত সাক্ষী দিতেছে। যাহা হউক, যে পুঁথি এবং যাঁহার পুঁথি তিনি লিখিয়াছেন, তাহা জগতে অতুলনীয়। অবতারবাদ মানিলে পূজনীয় বৃন্দাবন দাস পুনরায় ভগবানের লীলা বর্ণনা করিতে মর্ত্যধামে আসিয়াছেন, এ বিষয়ে আর কোন সন্দেহ নাই। শ্রীমদ্ভাগবত ও শ্রীচৈতন্য ভাগবত যে শ্রেণীর গ্রন্থ, পুঁথিও যে সেই শ্রেণীর গ্রন্থ, তাহা বলাই অত্বাক্তি মাত্র।
সংবাদ প্রভাকর, কলিকাতা ১৪ই পৌষ, শকাব্দ ১৮১৬।
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পুঁথি অর্থাৎ শ্রীশ্রীভগবান রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের চরিতামৃত। প্রথম খণ্ড শ্রীঅক্ষয়কুমার সেন কর্তৃক প্রণীত ও প্রকাশিত। এই খণ্ডে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ দেবের বাল্যলীলা বর্ণিত হইয়াছে। অক্ষয় বাবু মহাকার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছেন! আজকাল লোকে চুটকী চটকেই আত্মহারা, নাটক নভেলেই জিয়ন্তে মরা ! দুট রসের কথাতেই প্রাণভর। এ বাজারে যদি এইরূপ মহাপুরুষদিগের জীবনী প্রকাশিত হয়, তাহা হইলে আমাদের বিশ্বাস এ বিপ্লবে অনেক বাধা পড়িবে, এ আবিল স্রোতের খর-প্রবাহ মন্দীভূত হইয়া আসিবে, আবার ধর্মভাব তৃণাচ্ছাদিত “ভায়লেট” কুসুমের ন্যায় ধীরে ধীরে মস্তক উত্তোলন করিয়া দেখা দিবে। অক্ষয় বাবু এ কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়া যথার্থই দেশের ও দশের উপকার করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, এ জন্য তিনি অনাদের ধন্যবাদের পাত্র। পুঁথিখানি পক্ষে রচিত। কবি কৃত্তিবাস, কাশীদাসের প্রণালী অবলম্বন করিয়। অক্ষয় বাবু পয়ার ত্রিপদী প্রভৃতি বিবিধ সুললিত ছন্দে জীবনী প্রকাশ করিতেছেন, আমরা প্রথমখণ্ড পাঠ করিইয়া পরম পরিতুষ্ট হইয়াছি, একে সাধক জীবনের অপূর্ব্ব মহিমা, তার উপর আবার রামকৃষ্ণ আমাদের মধ্যেই ছিলেন, কাজেই তাঁহার জীবনী যে সাধারণের পক্ষে আদরের হইবে, ইগাই আমাদের ধ্রুব বিশ্বাস। লেখার প্রণালী মধুর ও প্রাঞ্জল। বুঝিবার পক্ষে কোন কষ্ট নাই। ভরসা করি, হিন্দুমাত্রেই অক্ষয় বাবুর প্রণীত এই সাধক-জীবনী ক্রয় করিবেন, ইহাতে ঐহিক ও পারত্রিক উভয়ত্র মঙ্গল হইবে, পারত্রিক মঙ্গলেচ্ছ কোন হিন্দু ইহাতে বিরত হইবে?
সুলভ দৈনিক, কলিকাতা ৯ই অগ্রহায়ণ, শনিবার, ১৩০১ সাল।